জাতীয়

বাংলাদেশকে ২১ কোটি ডোজ টিকার ব্যাপারে আশ্বস্ত করা হয়েছে

জনপদ ডেস্কঃ কোভ্যাক্সের আওতাসহ বিশ্বের বিভিন্ন উৎস থেকে বাংলাদেশকে কোভিড-১৯ এর প্রতিষেধক ২১ কোটি ডোজ টিকা দেবার প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

বুধবার (১৮ আগস্ট) বিকেলে সচিবসভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে ব্রিফিংকালে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

এদিনের সচিবসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বিভিন্ন বিষয়ে নির্দেশনা দেন।

ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, সচিবসভায় স্বাস্থ্যসেবা ও করোনা ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। করোনার টিকা পাওয়ার ব্যাপারে কোভ্যাক্সসহ বিশ্বের বিভিন্ন উৎস থেকে ভালভাবে যে আশ্বস্ত করা হয়েছে সে বিষয়েও সভায় আলোচনা করা হয়।

তিনি বলেন, ‘সর্বশেষ ক্রয় সংক্রান্ত সভায় ছয় কোটি ডোজ টিকা ক্রয়ের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়। স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ আজ আমাদের জানিয়েছে, বিভিন্ন উৎস থেকে ২১ কোটি চার লাখ ডোজের প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে। এরই মধ্যে তিন কোটি ১০ লাখ ডোজ টিকা আমরা ক্রয় করেছি। দেশের মানুষকে দুই কোটি পাঁচ লাখ টিকা দেওয়া হয়েছে। এখন এক কোটি চার লাখ হাতে আছে। ধাপে ধাপে সেগুলো দেওয়া হচ্ছে।’

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘সভায় খাদ্য সচিব প্রথমে খাদ্যের অবস্থা প্রধানমন্ত্রীর সামনে তুলে ধরেন। খাদ্য এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের সমন্বয় প্রয়োজন, যাতে কোনোভাবেই দেশের খাদ্যের ঘাটতি না হয়। দেশের খাদ্যের চাহিদার বিপরীতে উৎপাদনের পরিমাণ কত তা স্পষ্ট করে জানাতে কৃষি বিভাগকে বলা হয়েছে। সেক্ষেত্রে প্রয়োজন পড়লে আমদানি করা হবে, আর উদ্বৃত্ত থাকলে তো তার প্রয়োজন নেই।’

আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, সভায় প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন, এখন থেকেই খাদ্যের চাহিদার বিপরীতে উৎপাদন এবং ঘাটতি থাকলে কি পরিমাণ ঘাটতি তা নির্ধারণ করতে। যেহেতু ইতোমধ্যে বোরো ধান উঠে গেছে, গত বছর তিনবার বন্যা হয়েছে। যে কারণে গতবার আমন ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এবার এখনো তেমন কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। এখনো পানির স্তর গতবারের চেয়ে অনেক নিচে। সেকারণে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, খাদ্য এবং কৃষি দু’জনে বসে একসঙ্গে কাজ করবে। ইরি থেকে দুই থেকে তিনটি ভ্যারাইটি আসছে, সেগুলো প্রোডাকটিভিটি হাইব্রিডের কাছাকাছি’ বলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

এর আগে সকালে রাজধানীর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ-এনইসির সম্মেলন কক্ষে সচিবদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সর্বশেষ ২০১৭ সালের জুলাইয়ে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে সচিবসভা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর গত ৪ জুলাই চার বছর পর সচিবসভা করার উদ্যোগ নেওয়া হলেও করোনা পরিস্থিতির কারণে ওই সভা স্থগিত করা হয়।

চলতি বছর করোনাভাইরাসের সংক্রমণরোধে সরকারঘোষিত বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার পর নতুন করে সচিবসভা অনুষ্ঠিত হয়।

আরো দেখুন

সম্পরকিত খবর

Back to top button