অপরাধক্যাম্পাস

বাকৃবি ছাত্রলীগ সভাপতি-সম্পাদক গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৫০

জনপদ ডেস্ক: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) শাখা ছাত্রলীগের নবগঠিত কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ৫০ জন আহত হয়েছেন। এই ঘটনায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে এক আতঙ্ক বিরাজ করছে।

আজ মঙ্গলবার (৩১ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের সব পরীক্ষা স্থগিত রাখা হয়। এতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এর আগে, সোমবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারটি হলের শিক্ষার্থীদের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হল ছাত্রলীগের সাবেক দফতর সম্পাদক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারির চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মুইন নাদিম আল মুন্নাকে হল থেকে বের করে দেয়ার অভিযোগ রয়েছে বাকৃবি ছাত্রলীগের সভাপতি খন্দকার তায়েফুর রহমান রিয়াদ গ্রুপের বিরুদ্ধে। পরে মুন্না সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কে আর মার্কেটে আসলে সভাপতি গ্রুপের প্রায় ২০ জন তার ওপর চড়াও হয়। এ সময় তাকে কিল, ঘুষি-থাপ্পড় মারলে ঘটনার সূত্রপাত হয়।

জানা যায়, পরে সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের নেতা-কর্মীরা ঘটনাটি জানতে পারলে দু’গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়। পরে তাদের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় উভয় পক্ষের প্রায় ৫০ জন আহত হয়। পরে গুরুতর আহতদের ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন রাত সাড়ে ১০টার দিকে পরিস্থিতি শান্ত করে।

সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে ক্লাস করা থেকে বিরত আছেন অধিকাংশ শিক্ষার্থীরা।

এ ঘটনায় মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল অনুষদের পরীক্ষা অনিবার্য কারণবশত বন্ধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিন কাউন্সিলের আহ্বায়ক ড. এ. কে. ফজলুল হক ভূঁইয়া।

সংর্ঘষের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. খান মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবারের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় অনেক শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। অনেকেই এখন মেডিক্যালে ভর্তি আছে। তাদের কথা বিবেচনা নিয়ে আজকের চলমান পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলে এ সমস্যা দ্রুত সমাধান করা হবে।

শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি খন্দকার তায়েফুর রহমান রিয়াদ বলেন, সংঘর্ষের ঘটনাটি অনাকাঙ্ক্ষিত। শহীদ শামসুল হক হল সাধারণ সম্পাদক নিয়ন্ত্রণ করে। যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের শনাক্ত করে আমরা সাংগাঠনিক ব্যবস্থা নিব।

মুন্নাকে হল থেকে বের করে দেয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, তিনি নিজ ইচ্ছায় হল থেকে বের হয়ে গেছেন। হল থেকে বের হয়ে গেলেও হলের কিছু জুনিয়রকে তার নিজের গ্রুপে নেয়ার চেষ্টা করছিলেন। এ ঘটনার জন্য কয়েকজন তাকে চড়-থাপ্পড় দিয়েছেন।

শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান বলেন, ক্যাম্পাসে যারা এই পরিস্থিতি তৈরি করেছে তাদের চিহ্নিত করে সাংগাঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আরো দেখুন

সম্পরকিত খবর

Back to top button