ভ্রমন ডেস্ক:অস্ট্রেলিয়ায় এখন তীব্র দাবদাহ। এ কারণে পর্যটকসহ সবার ত্রাহি দশা। বিশেষ করে অ্যাডিলেডে তাপমাত্রা এতই বেশি যে, ফুটপাতে ফ্রাই প্যানে তেল ছাড়াই ডিম পোচ করে ফেলেছেন একজন! ঘটনাটি ডোভার গার্ডেনসের ফুটপাতে দেখা গেছে। অ্যাডিলেড সিটি সেন্টারে তখন তাপমাত্রা ছিল ৪৬ দশমিক ৬ সেলসিয়াস। এর মধ্য দিয়ে ভেঙে গেছে ৮০ বছরের পুরনো রেকর্ড।
১৯৩৯ সালের ১২ জানুয়ারি অ্যাডিলেডের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪৬ দশমিক ১ সেলসিয়াস। গত ২৪ জানুয়ারি অ্যাডিলেড বিমানবন্দরে সর্বোচ্চ ৪৪ দশমিক ৩ সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। সবশেষ ২০১৩ সালে সর্বোচ্চ ৪৪ দশমিক ১ সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল।
শুধু অ্যাডিলেড নয়, পুরো অস্ট্রেলিয়ায় রেকর্ড তাপমাত্রা বিরাজ করছে। এ কারণে বিভিন্ন দেশের পর্যটকদেরও বেশ দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। অ্যাডিলেডের গ্লেনেলগ সৈকতে দিনভর সময় কাটান ভ্রমণপ্রেমীরা।
গত ২৫ জানুয়ারি ভিক্টোরিয়া ও দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ায় তাপমাত্রা চরমে পৌঁছানোর কারণে অগ্নিনির্বাপকদের সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়। সবখানে আগুন জ্বালানো পুরোপুরি নিষিদ্ধ ছিল। ভিক্টোরিয়ার সবচেয়ে ঊষ্ণ এলাকা মিলডুরায় ৪১ দশমিক ৪ সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
আবহাওয়াবিদরা জানান, শনিবার পর্যন্ত বেশিরভাগ জায়গায় একই ঊষ্ণতা অনুভূত হয়েছে। জরুরি আবহাওয়া পরিষেবা ব্যুরোর কর্মকর্তা জনাথান ফিশার বলেন, ‘দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ায় ভয়াবহ গরমে কাবু হয়ে পড়েছেন বেশিরভাগ মানুষ। তাপমাত্রার অন্তত ১৫টি রেকর্ড ভেঙেছে এ বছর।’
অস্ট্রেলিয়ার টিভি নেটওয়ার্ক নাইন নিউজ এক প্রতিবেদনে জানায়, ভিক্টোরিয়ার দুটি বৃহত্তম বিদ্যুৎকেন্দ্র চালানো হয়েছে ঢিমেতালে। শিশু, কিশোর, বয়স্ক, গর্ভবতী নারীসহ সবাইকে যথাসম্ভব শীতল জায়গায় থাকার পরামর্শ দিয়েছে সাউথ অস্ট্রেলিয়ান স্টেট ইমার্জেন্সি সার্ভিস (এসইএস)। অ্যাডিলেডে ফ্লিন্ডারস মেডিক্যাল সেন্টারে জরুরি ছাড়া অস্ত্রোপচারের কাজ বিলম্বিত করেন চিকিৎসকরা। গরমে কাহিল রোগীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয় সেখানে