জনপদ ডেস্কঃ নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় প্রেমিকার ধর্ষণ মামলায় ইসতিয়াক আহম্মেদ নামের যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) রাতে ফতুল্লার পশ্চিম দেওভোগ নাগবাড়ি এলাকার নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৬ অক্টোবর) বিকেলে ধর্ষণ মামলায় তাকে নারায়ণগঞ্জ আদালতে প্রেরণ করে পুলিশ। আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণ করেছেন।
ইসতিয়াক আহমেদ ফতুল্লার নাগবাড়ি এলাকার মিজানুর রহমানের ছেলে। নিকটবর্তী বাবুরাইল তাঁতীপাড়া এলাকার আশরাফ আলীর মেয়ের সঙ্গে তার সম্পর্ক গড়ে ওঠা।
অভিযোগকারী নারীর দায়ের করা মামলায় উল্লেখ করা হয়, ইসতিয়াকের সঙ্গে ৪ বছর আগে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এরপর বিভিন্ন সময় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ইসতিয়াক শারীরিক সম্পর্ক করে। এক পর্যায়ে নাগবাড়ি মন্দির সংলগ্ন জিকু মিয়ার বাড়ির ৩ তলায় ফ্লাট ভাড়া নিয়ে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ করতে থাকে। সর্বশেষ ২০১৯ সালের ২৫ ডিসেম্বরও ওই ফ্লাটে ধর্ষণ করে। এরপর থেকে আজ নয় কাল এভাবে বিয়ে করবে বলে পায়তারা করতে থাকে। গত ১৪ অক্টোবর সন্ধ্যায়ও তাকে বিয়ে করার কথা বলে বিয়ে করেনি। উল্টো জানিয়ে দেয়, সে বাবা মায়ের পছন্দে অন্যত্রে বিয়ে করবে এবং তাকে যেন বিরক্ত না করে সেজন্য গালাগাল করেন ইসতিয়াক। পরে বিষয়টি তার অভিভাবকদের জানিয়ে থানায় অভিযোগ করেন।
ইসতিয়াকের দাবি, ওই নারীর সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এতে উভয়ের সম্মতিতে শারীরিক সম্পর্কও হয়েছে। আর দু’জনই উভয়ের বাবা-মাকে প্রেমের সম্পর্কের বিষয় জানায়। কিন্তু মেয়েটিকে তার বাবা-মা মেনে নিতে অস্বীকার করে এবং অন্যত্রে তার বিয়ে ঠিক করে।
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন জানান, মেয়েটির অভিযোগের প্রাথমিক তদন্তে সত্যতা পেয়ে ইসতিয়াককে তার হলুদ সন্ধ্যার অনুষ্ঠান থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ইসতিয়াক এখন কারাগারে রয়েছে।