ক্যাম্পাস

ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি মামলায় রাবি এক শিক্ষার্থীকে দুইদিনের রিমান্ড

আসিফ আহমেদ: ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি মামলায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নারী শিক্ষার্থীকে মেসে ডেকে এনে ধর্ষণ ও বন্ধুদের কে দিয়ে ভিডিও ধারণ করার ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে মতিহার থানার পুলিশ।

এই ঘটনায় জড়িত মাহফুজুর সারদ বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।

এই সম্পর্কে মতিহার থানার অফিসার ইনচার্জ এসএম মাসুদ পারভেজ জানান, সোমবার মাহফুজুর সারদ কে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।

গত ২৪ জানুয়ারি রাত সাড়ে ৮ টার দিকে মাহফুজুর সারদ (২২) তার রাবির এক ছাত্রী বান্ধবিকে বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে কাজলা সাঁকপাড়া এলকায় তার মেসে এনে জোর পূর্বক ধর্ষন করে। পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে তার বন্ধু নগরীর বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যায়ের আইন বিভাগের ছাত্র প্লাবন সরকার, রাফসান, জয়, জীবন এবং বিশাল কে দিয়ে ওই ছাত্রীকে ধর্ষনের ভিডিও মোবাইলে ধারন করে। ধর্ষনের পরে ওই ছাত্রীর কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে তারা। তাদের দাবি কৃত টাকা না দিলে ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়া হবে বলেও হুমকি দিয়ে গভীর রাতে ওই ছাত্রীকে ছেড়ে দেয় তারা। ধর্ষনের শিকার রাবি ছাত্রী বিষটি তার পিতা ও মাতাকে জানান।
গত ২৭ জানুয়ারি দুপুরে ধর্ষনের শিকার রাবির ওই ছাত্রীর বাবা ও মা কে নিয়ে মতিহার থানায় একটি ধর্ষন মামলা দায়ের করে। মামলা দায়ের করার পরেই মতিহার থানা পুলিশের একটি টিম অভিযান চালিয়ে রাবির অর্থনীতি বিভাগে লে মাফুজুর রহমান (২১) কে ও তার দুই বন্ধু প্লাবন তালুকদার (২১) এবং রাজশাহী বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র রাফসান (২২) কে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের পরে তাদের কাছে থেকে ধর্ষনের ভিডিওসহ মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে।

এদিকে, গত রোববার রাবি ছাত্রী ধর্ষনের ঘটনার সাথে জড়িত মাফুজুর রহমানের দুই বন্ধু মতিহার কাজলা এলাকার জীবন (২৫) ও জয় (২২) কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান মতিহার থানার অফিসার ইনচার্জ এসএম মাসুদ পারভেজ। এর মধ্যে বিশাল নামের একজন পলাতক আসামী কে গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যহত রয়েছে।

এঘটনায় ভাড়া দেয়া বাড়ির মালিক হাসান জানান, তিন মাস আগে ওই ছাত্রদের বাড়ি ভাড়া দিয়েছিলাম। ভাড়া দেয়ার এক মাস পরে তাদের কে সুবিধা জনক আচরণ মনে না হলে তাদের কে ভাড়া নেয়া রুমটি ছেড়ে দিতে বলে ছিলাম। তারা অনুরোধ করে জানুয়ারি মাস পর্যন্ত থেকে বাড়ি ছেড়ে দিতে চায়। এর মধ্যে এমন অপ্রীতিকর ঘটনার পরে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করার পরে বিষটি জানতে পারি।

আরো দেখুন

সম্পরকিত খবর

Back to top button