কৃষি ডেস্ক: ভুষির দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাওয়ায় গরুর খামার ধরে রাখতে পারছেন না রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চলের খামারিরা। এক মাসে ৫০ কেজির এক বস্তা ভুষি ৩০০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে যাওয়ায় অনেকে গরু বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন।
এক যুগ ধরে দুধের লিটার ৩০ টাকায় স্থির থাকলেও ওষুধ-ভিটামিনসহ আনুষঙ্গিক সবকিছুরই দাম বেড়েছে। এতদিন পানির দরে দুধ’ বিক্রি করলেও এবার ভুষির দাম লাফিয়ে বাড়ায় মাথার ওপর যেন বাজ পড়েছে। দুধেল গাভী কসাইখানায় দেয়ার আত্মঘাতী কাজ করেছেন অনেক খামারি।
বৃহত্তর রংপুর-দিনাজপুরের আটটি জেলায় প্রায় ৭০ লাখ গরু নিয়ে নিবন্ধিত খামার ৮হাজার ৪৪৩টি। নিবন্ধনের বাইরে আছে আরও অনেকগুলো। শিক্ষিত অনেক তরুণ-যুবক খামার করে এখন হতাশাগ্রস্ত।
খামারিদের এই বিপর্যয়ের খবর জানেন প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা। সমাধানে দিচ্ছেন ‘সবুজ ঘাস’ চাষের পরামর্শ।
রংপুর প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর উপ-পরিচালক শাহজালাল খন্দকার বলেন, সবুজ ঘাস সরকারিভাবে বিনামূল্যে খামারিদের সরবরাহ করা হচ্ছে। সবুজ ঘাস খাওয়ালে গরুর দানাদার খাবারের প্রয়োজনীয়তা কমে আসবে। ফলে খামারিরাও লাভবান হবে।
সংকটের স্থায়ী সমাধান হতে পারে সবুজ ঘাসের কর্মসূচি। কিন্তু ভুষির দামের ‘উপস্থিত সংকটে’ এই ‘সবুজ ঘাস’ প্রকল্পের পরামর্শ উপহাস মনে করছেন খামারিরা।