রাজশাহী , রবিবার, ০৭ জুলাই ২০২৪, ২২ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
পবিত্র আশুরা ১৭ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলনে উত্তাল রাবি রোববার ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনসহ ‘ব্লকেড’ কর্মসূচি ঘোষণা বঙ্গবন্ধুর বাল্যকালের স্কুলে প্রধানমন্ত্রী আ.লীগ নেতা বাবুল হত্যা : অভিযুক্ত পৌর মেয়র আক্কাছ গ্রেপ্তার ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান রাজশাহীর পদ্মার চরে হবে দৃষ্টিনন্দন পর্যটন নগরী দাবা খেলতে খেলতেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়া অনেক ঝড়ঝাপটা পার করে পদ্মাসেতু নির্মাণ করতে হয়েছে শেখ হাসিনাকে ‌‌‘ইকেবানা’ উপহার পাঠালেন বাবা হারানো জাপানি কন্যা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় উন্নীত হবে : চীন কোটা আন্দোলন : বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজে ক্লাস বর্জনসহ তিন দিনের কর্মসূচি ৬ ঘণ্টা পর শাহবাগ ছাড়লেন কোটা বিরোধীরা চতুর্থদিনের মতো আন্দোলনে কোটাবিরোধীরা রাবিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহালের রায় আপাতত বহাল ৪ বিভাগে হতে পারে ভারী বৃষ্টি ‘কাফনের কাপড়’ পরে আমরণ অনশনে শিক্ষার্থীরা, দাবি মেনে নিলো রামেবি দেশের ৫ বিভাগ এখন ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত : প্রধানমন্ত্রী বাগমারায় শ্রেণিকক্ষ থেকে অজগর সাপ উদ্ধার, শিক্ষার্থীদের মাঝে আতঙ্ক

কোটা আন্দোলনে যেতে হলে হলে ছাত্রলীগের বাধার অভিযোগ

  • জনপদ ডেস্ক
  • আপডেটের সময় : ০১:০৭:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই ২০২৪
  • ৩২ টাইম ভিউ
Adds Banner_2024

সরকারি নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা ব্যবস্থা বাতিল করে ২০১৮ সালে দেওয়া প্রজ্ঞাপন পুনর্বহালের দাবিতে চতুর্থ দিনের মতো আন্দোলনে নেমেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সকাল থেকেই ঢাবির বিভিন্ন হল থেকে আলাদা ব্যানারে মিছিল নিয়ে কোটা আন্দোলনে যোগ দেন তারা। তবে ঢাবির একাধিক হলে কোটা আন্দোলনে যেতে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

জানা গেছে, এদিন বিজয় একাত্তর হল ও জহুরুল হক হল গেটে অবস্থান নেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। হলের শিক্ষার্থীরা যেন কোটা আন্দোলনে যেতে না পারেন সে জন্য সূর্যসেন হলের গেটে তালা লাগানো হয়। এছাড়া জসিম উদ্দিন হলের চারতলায় আটকে রাখা হয় কিছু শিক্ষার্থীকে। এছাড়াও হলে কোটা আন্দোলনকারীরা প্রচারণা করতে গেলে তাদের বের করে দেওয়া হয়।

Trulli

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাজী মুহাম্মদ মুহসীন হলের এক শিক্ষার্থী বলেন, সূর্যসেন হলে আমাকে আটকে রাখা হয়েছিল। সেখানে বলা হয় আগামী এক ঘণ্টার জন্য বের হওয়া যাবে না। পরে আমি বলেছি, আমি মুহসীন হলে থাকি। তারপরও তারা জেরা করেছে৷ পরে জার্সিতে মুহসীন হল লেখা দেখে আমাকে ছাড়ে।

জসিম উদ্দিন হলের এক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের সাদ্দাম ও সৈকত গ্রুপের কর্মীরা বাধা দিয়েছে। হলের চার তলায় আমাদের আটকে রেখেছে।

সূর্যসেন হলের গেটের নিরাপত্তারক্ষী বলেন, আমরা গেটের দায়িত্বে আছি ঠিকই কিন্তু হল গেটে ছাত্রলীগ তালা মেরেছে। ছেলেদের কে মিছিলে যেতে না করেছে।

এফ রহমান হলের এক শিক্ষার্থী বলেন, এখানে কোটা আন্দোলনকারীরা হ্যান্ড মাইকে আমাদের ডাকতে আসেন কিন্তু তাদেরকে হল থেকে বের করে দেয় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।

ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত বলেন, অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট। শিক্ষার্থীদের নিজেদের ভেতরে সমস্যা থেকে এমন করতে পারে। আমি খোঁজ নিয়েছি, আমাদের নেতাকর্মীরা শিক্ষার্থীদের কোথাও যেতে বাধা দিচ্ছে না৷

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের কোটার পরিপত্র চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম কমান্ড কাউন্সিলের সভাপতি অহিদুল ইসলামসহ সাত শিক্ষার্থী। এর প্রেক্ষিতে গত ৫ জুন ২০১৮ সালের জারিকৃত পরিপত্রটি পুনর্বহাল করা হয়। বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

Adds Banner_2024

কোটা আন্দোলনে যেতে হলে হলে ছাত্রলীগের বাধার অভিযোগ

আপডেটের সময় : ০১:০৭:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই ২০২৪

সরকারি নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা ব্যবস্থা বাতিল করে ২০১৮ সালে দেওয়া প্রজ্ঞাপন পুনর্বহালের দাবিতে চতুর্থ দিনের মতো আন্দোলনে নেমেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সকাল থেকেই ঢাবির বিভিন্ন হল থেকে আলাদা ব্যানারে মিছিল নিয়ে কোটা আন্দোলনে যোগ দেন তারা। তবে ঢাবির একাধিক হলে কোটা আন্দোলনে যেতে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

জানা গেছে, এদিন বিজয় একাত্তর হল ও জহুরুল হক হল গেটে অবস্থান নেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। হলের শিক্ষার্থীরা যেন কোটা আন্দোলনে যেতে না পারেন সে জন্য সূর্যসেন হলের গেটে তালা লাগানো হয়। এছাড়া জসিম উদ্দিন হলের চারতলায় আটকে রাখা হয় কিছু শিক্ষার্থীকে। এছাড়াও হলে কোটা আন্দোলনকারীরা প্রচারণা করতে গেলে তাদের বের করে দেওয়া হয়।

Trulli

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাজী মুহাম্মদ মুহসীন হলের এক শিক্ষার্থী বলেন, সূর্যসেন হলে আমাকে আটকে রাখা হয়েছিল। সেখানে বলা হয় আগামী এক ঘণ্টার জন্য বের হওয়া যাবে না। পরে আমি বলেছি, আমি মুহসীন হলে থাকি। তারপরও তারা জেরা করেছে৷ পরে জার্সিতে মুহসীন হল লেখা দেখে আমাকে ছাড়ে।

জসিম উদ্দিন হলের এক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের সাদ্দাম ও সৈকত গ্রুপের কর্মীরা বাধা দিয়েছে। হলের চার তলায় আমাদের আটকে রেখেছে।

সূর্যসেন হলের গেটের নিরাপত্তারক্ষী বলেন, আমরা গেটের দায়িত্বে আছি ঠিকই কিন্তু হল গেটে ছাত্রলীগ তালা মেরেছে। ছেলেদের কে মিছিলে যেতে না করেছে।

এফ রহমান হলের এক শিক্ষার্থী বলেন, এখানে কোটা আন্দোলনকারীরা হ্যান্ড মাইকে আমাদের ডাকতে আসেন কিন্তু তাদেরকে হল থেকে বের করে দেয় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।

ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত বলেন, অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট। শিক্ষার্থীদের নিজেদের ভেতরে সমস্যা থেকে এমন করতে পারে। আমি খোঁজ নিয়েছি, আমাদের নেতাকর্মীরা শিক্ষার্থীদের কোথাও যেতে বাধা দিচ্ছে না৷

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের কোটার পরিপত্র চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম কমান্ড কাউন্সিলের সভাপতি অহিদুল ইসলামসহ সাত শিক্ষার্থী। এর প্রেক্ষিতে গত ৫ জুন ২০১৮ সালের জারিকৃত পরিপত্রটি পুনর্বহাল করা হয়। বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।