রাজশাহী , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
অপরাধীদের খুঁজে বের করে বিচারের মুখোমুখি করুন : প্রধানমন্ত্রী জনগণের জানমাল রক্ষার্থে ও যেকোন অরাজকতা রুখতে আমরা মাঠে ছিলাম, আছি: মেয়র লিটন ঢাকায় সহিংসতায় অংশ নেয় রাজশাহীর জেএমবি সদস্যরা! ক্ষতিগ্রস্ত বিটিভি ভবন পরিদর্শন করলেন শেখ হাসিনা এইচএসসি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে যা বললেন শিক্ষামন্ত্রী ইন্টারনেটের গতি বৃদ্ধি ও ফেসবুক নিয়ে যে নির্দেশনা দিল বিটিআরসি এইচএসসির আরো চারটি পরীক্ষা স্থগিত নরসিংদী কারাগার থেকে পলাতক ৩৩১ কয়েদির আত্মসমর্পণ স্থগিত হওয়া এইচএসসি পরীক্ষা ১১ আগস্টের পর কোটা নিয়ে আপিল শুনানি রোববার এবার বিটিভির মূল ভবনে আগুন ২১, ২৩ ও ২৫ জুলাইয়ের এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত অবশেষে আটকে পড়া ৬০ পুলিশকে উদ্ধার করল র‍্যাবের হেলিকপ্টার উত্তরা-আজমপুরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত ৪ রামপুরা-বাড্ডায় ব্যাপক সংঘর্ষ, শিক্ষার্থী-পুলিশসহ আহত দুই শতাধিক আওয়ামী লীগের শক্ত অবস্থানে রাজশাহীতে দাঁড়াতেই পারেনি কোটা আন্দোলনকারীরা সরকার কোটা সংস্কারের পক্ষে, চাইলে আজই আলোচনা তারা যখনই বসবে আমরা রাজি আছি : আইনমন্ত্রী আন্দোলন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে কথা বলবেন আইনমন্ত্রী রাজশাহীতে শিক্ষার্থীদের সাথে সংঘর্ষ, পুলিশের গাড়ি ভাংচুর, আহত ২০

হলের বিদায় অনুষ্ঠান হয়েছে পার্কে, ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা

  • আপডেটের সময় : ১০:০৬:০৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • ৫ টাইম ভিউ
Adds Banner_2024

নিজস্ব প্রতিবেদক, ইবি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শেখ রাসেল হলের বিদায়ী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান ক্যাম্পাস থেকে ২২ কিলোমিটার দূরবর্তী স্থানে আয়োজন করেছে হল কর্তৃপক্ষ।

বৃহস্পতিবার (৮ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে ২২ কিলোমিটার দূরবর্তী ঝিনাইদহ শহরের জোহান’স ড্রিম ভ্যালী পার্কে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

Banglar Janapad Ads

জানা যায়, পূর্বনির্ধারিত শিডিউল অনুযায়ী বিদায় অনুষ্ঠান হলের অভ্যন্তরে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলে কোনো অজানা কারণে অনুষ্ঠানটি পার্কে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে হলটির সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে হলের প্রবীণ শিক্ষার্থীদের জমকালো আয়োজনের মাধ্যমে বিদায় অনুষ্ঠানের আয়োজনের পরিকল্পনা করে আসছিল হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা। এরপর প্রোগ্রাম আয়োজনের দায়িত্ব নেয় হল প্রশাসন। হল প্রশাসন কর্তৃক বড় পরিসরে হলের সকল আবাসিক শিক্ষার্থীদের নিয়ে আয়োজন করার কথা থাকলে গোপনে শুধুমাত্র বিদায়ী শিক্ষার্থীদের নিয়ে ঝিনাইদহের একটি পার্কে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে হল কর্তৃপক্ষ।

এ বিষয়ে শেখ রাসেল হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ইমরান হোসেন বলেন, ‘হলের বড় ভাইদের বিদায় অনুষ্ঠান আমাদের জন্য আবেগঘন ব্যাপার। এ ধরণের প্রোগ্রামে শিক্ষার্থীরা সিনিয়রদের দিকনির্দেশনা পেয়ে থাকে। হল প্রশাসনের হটকারিতায় আমরা এত সুন্দর আয়োজন মিস করেছি।’

হলের আবাসিক শিক্ষার্থী তোহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের দীর্ঘদিনের পরিকল্পনা ছিলো আমরা সিনিয়রদের জমকালো আয়োজনের মাধ্যমে বিদায় দিব এবং তাদের সাথে একই হলে দীর্ঘদিন থাকার স্মৃতি দারুণভাবে ধরে রাখবো যাতে আজীবন স্মৃতিচারণ করতে পারি। কিন্তু হল প্রশাসন আমাদের পরিকল্পনায় পণ্ড করে দিলো। অল্প কয়েকজন সিনিয়রকে নিয়েই পার্কে প্রোগ্রাম শেষ করে এসেছে।’

এ বিষয়ে হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শর্মা বলেন, ‘আমাদের হল বডির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাইরে প্রোগ্রাম করা হয়েছে। আর মাত্র ৬০ জনের হলে প্রোগ্রাম আয়োজন করার মতো আর্থিক সামর্থ্য আমাদের নেই।’

হলের বিদায়ী শিক্ষার্থী ব্যতীত অন্যান্য শিক্ষার্থীদের বাদ দিয়ে অনুষ্ঠান আয়োজনের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি জানান, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশনের জন্য অনলাইন ফর্ম ছেড়েছিলাম, কিন্তু কেউ রেজিস্ট্রেশন করেনি। আমরা কি শিক্ষার্থীদের ডেকে ডেকে বলবো যে, তোমরা রেজিস্ট্রেশন করো।’

Adds Banner_2024

হলের বিদায় অনুষ্ঠান হয়েছে পার্কে, ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা

আপডেটের সময় : ১০:০৬:০৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ইবি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শেখ রাসেল হলের বিদায়ী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান ক্যাম্পাস থেকে ২২ কিলোমিটার দূরবর্তী স্থানে আয়োজন করেছে হল কর্তৃপক্ষ।

বৃহস্পতিবার (৮ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে ২২ কিলোমিটার দূরবর্তী ঝিনাইদহ শহরের জোহান’স ড্রিম ভ্যালী পার্কে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

Banglar Janapad Ads

জানা যায়, পূর্বনির্ধারিত শিডিউল অনুযায়ী বিদায় অনুষ্ঠান হলের অভ্যন্তরে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলে কোনো অজানা কারণে অনুষ্ঠানটি পার্কে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে হলটির সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে হলের প্রবীণ শিক্ষার্থীদের জমকালো আয়োজনের মাধ্যমে বিদায় অনুষ্ঠানের আয়োজনের পরিকল্পনা করে আসছিল হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা। এরপর প্রোগ্রাম আয়োজনের দায়িত্ব নেয় হল প্রশাসন। হল প্রশাসন কর্তৃক বড় পরিসরে হলের সকল আবাসিক শিক্ষার্থীদের নিয়ে আয়োজন করার কথা থাকলে গোপনে শুধুমাত্র বিদায়ী শিক্ষার্থীদের নিয়ে ঝিনাইদহের একটি পার্কে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে হল কর্তৃপক্ষ।

এ বিষয়ে শেখ রাসেল হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ইমরান হোসেন বলেন, ‘হলের বড় ভাইদের বিদায় অনুষ্ঠান আমাদের জন্য আবেগঘন ব্যাপার। এ ধরণের প্রোগ্রামে শিক্ষার্থীরা সিনিয়রদের দিকনির্দেশনা পেয়ে থাকে। হল প্রশাসনের হটকারিতায় আমরা এত সুন্দর আয়োজন মিস করেছি।’

হলের আবাসিক শিক্ষার্থী তোহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের দীর্ঘদিনের পরিকল্পনা ছিলো আমরা সিনিয়রদের জমকালো আয়োজনের মাধ্যমে বিদায় দিব এবং তাদের সাথে একই হলে দীর্ঘদিন থাকার স্মৃতি দারুণভাবে ধরে রাখবো যাতে আজীবন স্মৃতিচারণ করতে পারি। কিন্তু হল প্রশাসন আমাদের পরিকল্পনায় পণ্ড করে দিলো। অল্প কয়েকজন সিনিয়রকে নিয়েই পার্কে প্রোগ্রাম শেষ করে এসেছে।’

এ বিষয়ে হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শর্মা বলেন, ‘আমাদের হল বডির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাইরে প্রোগ্রাম করা হয়েছে। আর মাত্র ৬০ জনের হলে প্রোগ্রাম আয়োজন করার মতো আর্থিক সামর্থ্য আমাদের নেই।’

হলের বিদায়ী শিক্ষার্থী ব্যতীত অন্যান্য শিক্ষার্থীদের বাদ দিয়ে অনুষ্ঠান আয়োজনের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি জানান, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশনের জন্য অনলাইন ফর্ম ছেড়েছিলাম, কিন্তু কেউ রেজিস্ট্রেশন করেনি। আমরা কি শিক্ষার্থীদের ডেকে ডেকে বলবো যে, তোমরা রেজিস্ট্রেশন করো।’