জনপদ ডেস্কঃ রাস্তার ধারে ছনের ভেতর কাউকে গড়াগড়ি করতে দেখে এগিয়ে যান প্রাতঃভ্রমণে বের হওয়া মজিরন বেগমসহ তিন নারী। কাছে গিয়ে দেখতে পান এক মানসিক প্রতিবন্ধী নারী প্রসব যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন। মজিরন বেগম সেখানে দাইয়ের কাজটি করেন। কিছুক্ষণ পর ওই নারী একটি কন্যা সন্তান প্রসব করেন। বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয় লোকজন নবজাতককে দেখতে ভিড় জমান। ফুটফুটে শিশুটির মায়াবী মুখ দেখে অনেকেই মমতায় আগলে কোলে তুলে নেন।
বুধবার (৫ জুলাই) সকাল ৬টার দিকে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলা সদরের পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে ৩৫ বছর বয়সী ওই মানসিক প্রতিবন্ধী নারী কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছেন।
![Trulli](https://banglarjanapad.com/wp-content/uploads/2024/07/Green-adds.jpeg)
এসময় মজিরন বেগম নবজাতককে মায়ের কোলে দিতে চাইলেও তিনি দূরে সরিয়ে দেন। পরে স্থানীয় লোকজন সকাল ৯টার দিকে শিশুটিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাকিলা বিনতে মতিনের কাছে নিয়ে যান।
ইউএনও পরম মমতায় শিশুটিকে কোলে তুলে নিয়ে চিকিৎসার জন্য কুমুদিনী হাসপাতালে পাঠান। পরে পুলিশের সহায়তায় মানসিক প্রতিবন্ধী নারীকেও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মা ও নবজাতক সুস্থ আছে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।
উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা খাইরুল ইসলাম বলেন, মানসিক প্রতিবন্ধী ওই নারী কবে মির্জাপুর এসেছেন তা কেউ বলতে পারেনি। যে নারী নবজাতককে ইউএনও অফিসে নিয়ে এসেছেন তিনিও তাকে এর আগে দেখেননি। নাম জিজ্ঞাসা করলে মানসিক প্রতিবন্ধী ওই নারী তিনটি নাম বলেছেন। হাসপাতালের রেজিস্টার খাতায় নাজমা। পরে আবার জিদলী এবং তিথি নামও বলেছেন। বাবার নাম বলেছেন মশিউর রহমান, বাড়ি বরিশাল। এর চেয়ে বেশি আর কিছু বলেননি। তবে হাসপাতালে রেখেই আমরা পরিচয় জানার চেষ্টা করছি।
কুমুদিনী হাসপাতালের উপ-মহাব্যবস্থাপক অনিমেষ ভৌমিক বলেন, ইউএনও মা এবং নবজাতককে হাসপাতালে পাঠান। মা ও শিশু এখন আমাদের তত্ত্বাবধানে আছে এবং তারা সুস্থ আছে।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাকিলা বিনতে মতিন বলেন, মানসিক প্রতিবন্ধী ওই নারী সঠিকভাবে কথা বলছেন না। আমরা তার পরিচয় জানার চেষ্টা করছি। পরিচয় না পাওয়া গেলে আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।