জনপদ ডেস্কঃ প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় শিশু নয়ন হত্যার ঘটনার সাত মাস পর রহস্য উদঘাটন করেছে পিবিআই। এ ঘটনায় জড়িত এক জনকে গ্রেফতার করে অভিযান চালিয়ে হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার করেছে পিবিআই নেত্রকোনা।
শনিবার দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন নেত্রকোনা পিবিআই অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহীনুর কবির।
![Trulli](https://banglarjanapad.com/wp-content/uploads/2024/07/Green-adds.jpeg)
তিনি জানান, গত ২০১৭ সালের কেন্দুয়ার পানগাও গ্রামে জমি নিয়ে বিরোধরে জেরে রহিমা নামে এক নারী হত্যার ঘটনায় ওই নারীর পরিবার সবুজ মিয়াসহ কয়েকজনকে হত্যা মামলার আসামি করেন। পরে ওই মামলার আসামীরা একত্র হয়ে প্রতিশোধ নিতে এবং প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে ১২ বছরের শিশু নয়নকে হত্যা করে নয়নের চাচাসহ রহিমা হত্যা মামলার কয়েকজন আসামী। গত বছরের ৭ নভেম্বর শিুটিকে হত্যার পর প্রতিপক্ষ সবুজ মেম্বারকে ফাঁসাতে তার বাড়ির কাছে লাশ ফেলে রাখে। ৯ নভেম্বর শিশুর বাবা ওয়াদুদ বাদী হয়ে ৪ জনকে আসামী করে।
পুলিশের পাশাপাশি ঘটনাটি পিবিআই তদন্ত শুরু করলে গত ২৪ মার্চ ১৭ সালের রহিমা হত্যায় গ্রেফতার হওয়া মো. শামছুল হককে সন্দেহমূলকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করলে নয়ন হত্যার সাথে জড়িত নয়নের চাচা সবুজ মিয়াসহ কয়েকজনের তথ্য দেয় গ্রেফতার হওয়া শামছুল।
তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী গত বৃহস্পতিবার রাতে পানগাও গ্রামের রহিম উদ্দিনের ছেলে মো. আসাদুজ্জামান আসাদ (৩০) কে গ্রেফতার করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদে আসাদকে নিয়ে আভিযান পরিচালনা করে নয়ন হত্যায় ব্যবহৃত ছুরিটি মাটিতে পুতে রাখা অবস্থায় পাশের জঙ্গল থেকে উদ্ধার করে পিবিআই টিম। এ ঘটনায় জড়িত আসাদকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।