ঢাকা প্রতিনিধি: চিকিৎসা খাতসহ বিভিন্নভাবে সেবা নেয়ার পরিসর বেড়ে যাওয়ায় শিক্ষার্থীদের আগ্রহ বাড়ছে নার্সিং পেশায়। একইসঙ্গে বেড়েছে প্রতিষ্ঠানের সংখ্যাও। তবে মানসম্পন্ন নার্সিং শিক্ষার জন্য অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও সিলেবাসে পরিবর্তন জরুরী মনে করেন গবেষকরা। নার্সিং অধিদপ্তর বলছে, শিগগির বাস্তবায়ন করা হবে নতুন শিক্ষা কারিকুলাম।
পেশাগত কাজের মাধ্যমে সেবা দেয়ার লক্ষ্যে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে নার্সিং শিক্ষা নিচ্ছেন কয়েক হাজার শিক্ষার্থী। মানবিক আচার থেকে শুরু করে পেশাগত প্রশিক্ষণে তাথ্যিক ও ব্যবহারিক-ভাবে তাদের শেখানো হচ্ছে সেবা দেয়ার বিভিন্ন পদ্ধতি বা কলা কৌশল।
নার্সের প্রশিক্ষণ দেওয়া ছাত্র-ছাত্রীরা জানান, ছোটবেলা থেকে আমার ইচ্ছা ছিল নার্সিংয়ের পেশা আসার। সেই থেকে এই পেশায় আসার জন্য প্রশিক্ষণ নিচ্ছি। এছাড়াও ড্রেস-আপটা বেশি ভাল লাগে।
স্বাস্থ্য খাতে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় এ খাতে আগ্রহী শিক্ষার্থী যেমন বেড়েছে, প্রয়োজনে বাড়ছে প্রতিষ্ঠানের সংখ্যাও। তবে সুযোগ-সুবিধা ও আসন সংখ্যা বৃদ্ধিতে সরকারের সুনজর প্রয়োজন মনে করে নার্সিং কাউন্সিল।
গবেকেষকরা বলছেন, শিক্ষা ব্যবস্থা যুগোপযোগী করতে শিক্ষা কারিকুলামে আধুনিকায়ন অত্যাবশ্যক। তবে বিশ্ব মানের নার্স তৈরিতে শিক্ষা পদ্ধতি সংস্কারের কথা জানায় নার্সিং অধিদপ্তর।
পথিকৃৎ সেন্টার ফর হেলথ স্টাডিজের মহাপরিচালক ডা. লিয়াকত আলী বলেন, আমরা যদি সত্যি নার্সদের অবস্থান উন্নত করতে চাই। তাহলে শিক্ষায় ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।
নার্সিং ও মিডওয়াইফারির অধিদপ্তরের মহাপরিচালক তন্দ্রা শিকদার বলেন, ওই মানটাকে আপডেট রেখে এই বছরে কারিকুলাম আপডেট করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারি না। তারা দুই ধাপ এগিয়ে গেলেও আমরা সেটাকে ফলো করে সামনের দিকে এগিয়ে যাই।