নিজস্ব প্রতিবেদক, জয়পুরহাট: জয়পুরহাটে পরিবেশ বান্ধব মালচিং পেপার ব্যবহারে বৃদ্ধি পাচ্ছে চাষাবাদ। খাদ্য উৎপাদনে উদ্বৃত্ত উত্তর জনপদের জেলা জয়পুরহাটে। অতি বৃষ্টিতেও মাটির গুণগতমান নষ্ট না হওয়া এবং উৎপাদন খরচও কম হওয়ায় পরিবেশ বান্ধব এই মালচিং পেপার ব্যবহার করে উচ্চমূল্যের ফসল চাষাবাদ দিন দিন বেড়েই চলেছে। ”মালচিং পেপার ব্যবহার করুন, অধিক ফসল ঘরে তুলুন”এ স্লোগানকে সামনে রেখে স্থানীয় বে-সরকারি প্রতিষ্ঠান’জাকস ফাউন্ডেশন’কৃষকদের মাঝে এ কারিগরি সহযোগিতা প্রদান করছেন।
এ পদ্ধতিতে বেড তৈরি, রাসায়নিক এবং জৈব সার এক সঙ্গে প্রয়োগ করে বীজ রোপণের জায়গা টুকু ফাঁকা রেখে চাষাবাদ জমি পলিথিনের মালচিং সেড দিয়ে ঢেকে দিতে হয়।এতে অতি বৃষ্টি থেকে রক্ষা পাওয়ার পাশা-পাশি মাটির গুণাগুণও নষ্ট হয়না। আর তা ছাড়া এ পদ্ধতিতে ফসল চাষ করলে উৎপাদন খরচও কম হয়। ফলে জেলায় পরিবেশ বান্ধব ফসল চাষাবাদের এ পদ্ধতি দিন দিন বেড়েই চলেছে। অধিক ফসল উৎপাদনের লক্ষ্যে বিশেষ করে শসা ও তরমুজ চাষাবাদে সম্প্রতি পুরোপুরি মালচিং পেপার এ পদ্ধতি ব্যবহার করছেন কৃষকরা।
![Trulli](https://banglarjanapad.com/wp-content/uploads/2024/07/Green-adds.jpeg)
জেলার সদর উপজেলার ফরিদপুর, গোপালপুর, কোচকুড়ি ও তেকানা গ্রামে সরেজমিন দেখা যায়,মাঠে কৃষকরা মালচিং পেপার ব্যবহার করে ফসল চাষ করছেন।ওই সকল গ্রামের কৃষক মুকুল,মাহমুদ, বিপ্লব জানিয়েছেন,মালচিং পেপার ব্যবহার করে ফসল চাষে অধিক ফসল উৎপাদনের পাশা-পাশি উৎপাদন খরচও কম হওয়ায় লাভ বেশি থাকে।উল্লেখিত এলাকায় এবার প্রায় ১শ বিঘা জমিতে এ পদ্ধতি ব্যবহার করে শসা চাষ হচ্ছে বলে জানিয়েছেন,জাকস ফাউন্ডেশনের কৃষি কর্মকর্তা শাহাদত হোসেন শাহিন। এ পদ্ধতিতে ফসল চাষাবাদের জন্য কারিগরি সহযোগিতা প্রদানের কথা জানিয়েছেন, ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক নূরুল আমিন।
পরিবেশ বান্ধব মালচিং পেপার ব্যবহার করে ফসল চাষাবাদে মাটির গুণাগুণ রক্ষা হওয়ার পাশা-পাশি অধিক ফসল উৎপাদন করা যায় বলে জানিয়েছেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ রাহেলা পারভীন।