জনপদ ডেস্কঃ করোনার প্রভাবে চরম বিপাকে বগুড়ার গবাদি পশুর খামারিরা। সামনে কোরবানির ঈদ কিন্তু খামারগুলোতে নেই ক্রেতাদের আনাগোনা। কোভিড উনিশে আক্রান্তের ভয়ে হাট বাজারেও গরু নিতে ভয় পাচ্ছেন তারা। বছর জুড়ে ব্যাপক খরচের পর গরু বিক্রি করতে না পারলে বড় ধরনের লোকসানের আশঙ্কা খামারিদের।
কোরবানির ঈদ উপলক্ষে বগুড়ার খামারিরা প্রায় চার লাখ গরু মোটাতাজা করতে বড় অংকের টাকা বিনিয়োগ করেছেন। গোখাদ্য, ওষুধ, বিদ্যুতসহ অন্যান্য খরচ বেড়ে যাওয়ায় গরু প্রতিপালনে বেড়েছে ব্যয়ও কয়েকগুণ। এর মধ্যে করোনার মহামারিতে খামারগুলোতে আসেনি ক্রেতাদের অর্ডারও।
![Trulli](https://banglarjanapad.com/wp-content/uploads/2024/07/Green-adds.jpeg)
খামারিরা বলেন, গম, ভুট্টাসহ প্রত্যেকটা জিনিসের দাম অস্বাভাবিক। সবকিছুর দাম বাড়ায় আমাদের খরচও বেড়ে গেছে।
জেলা করোনার রেডজোন হলেও বাজার ব্যবস্থাপনায় আনা হয়নি কোন পরিবর্তন। তাই খামারিরা হাট বাজারে গরু নিয়ে যেতে ভয় পাচ্ছেন।
খামারিরা বলেন, হাট বাজারে মানুষজন আসছে না। আমরাও যেতে পারছি না। তাই আমরাও গরু বিক্রি করতে পারছি না। আমরা লসের মধ্যে রয়েছি। করোনার কারণে আমরা স্বাভাবিকভাবে কোনো কিছু করতে পারছি না।
জেলার প্রাণি সম্পদ বিভাগ বলছে, প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে শিগগিরই হাট ব্যবস্থাপনা এবং অনলাইনে গবাদি পশু বিক্রি করার একটি অ্যাপ চালু করা হবে।
বগুড়া জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম তালুকদার বলেন, আমরা অনলাইনে গবাদি পশু চালুর জন্য জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কথা বলেছি। আশা করি, আমরা খুব শিগগিরই এটি চালু করতে পারব।
প্রাণি সম্পদ বিভাগের তথ্য মতে, জেলায় ৪৫ হাজার খামারি গরু মোটতাজা করেছেন। কোনো স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই ১২টি উপজেলায় স্থায়ী ও অস্থায়ী পশুর হাট চলছে ৭০টি।